
নামাজ বা কুরআন পড়া ছাড়াও ইসলাম ধর্মে অনেক বিষয়ের জন্য অজু আবশ্যক। এছাও অজুতে অনেক ফজিলত রয়েছে হাদিসে এসেছে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো মোমিন বান্দা যখন অজু করে, তখন মুখ ধৌত করার সময় পানির সঙ্গে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে তার ওইসব গোনাহ বের হয়ে যায়, ফলে অজু শেষে লোকটি তার সমুদয় গোনাহ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে যায়।’ (মুসলিম : ৪৭০)।
অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,
‘কেয়ামতের দিন আমার উম্মতকে এমন অবস্থায় আহ্বান করা হবে যে, অজুর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমন্ডল উজ্জ্বল থাকবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূল (সা) বলেছেন,‘যে ব্যক্তি অজু থাকা সত্ত্বেও আবার অজু করে সে দশটি নেকী লাভ করে।’ (মু.হা. অজুর ফাজায়েল:২৫৩)।
অন্য আরএক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,
নামাজ বেহেস্তের চাবি আর নামাজের চাবি হেচ্ছে অজু। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে অজুর গুরুত্ব কতটা বেশি। তাছাড়া ওজুর আরো অনেক ফজিলতও রয়েছে সুতরাং আমাদের অজুর ফরজগুলোশিখে রাখা খুবিই প্রয়োজনিয়।অজুর ফরজ মোট টারটি
অজুর ফরজগুলো হলো:-
১। সমস্ত মোখ ভাল ভাবে ধৌত করা। মুখের সিমানা হলো কপালের চুলের গুরা থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত।
২। উভয় হাতের কনুই সহ ভাল ভাবে ধৌত করা। খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন অংশ শুকনা না থাকে।
৩। মাথা চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ্ করা। কম পক্ষে দুই হাতের ৩+৩=৬ আঙুল দিয়ে মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ্ করতে হবে। এর কম হলে অজু হবে না।
৪। দুই পায়ের টাকনু সহ ধৌত করা।এখানেউ খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন অংশ শুকনা না থাকে।
এই চারটি নিয়ম পালন করলে আপনার অজু হয়ে যাবে। তবে অজু সুন্দর করার জন্য আরো কিছু নিয়ম আছে সেগুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে ইংসা আল্লাহ।
