মাথাব্যাথা বিরক্তি এবং অস্বস্তিকর একটি ব্যাপার। প্রতিনিয়তই আমরা মাথ্যাব্যাথায় ভূগে থাকি এবং দৈনন্দিন কর্মকান্ডে মাথাব্যাথা একটি চরম বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরী করে।যার ফলে সঠিকভাবে মনযোগ সহকারে কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
আমাদের অনেকেরই এই মাথাব্যাথা সম্পর্কে অজ্ঞতা রয়েছে। মাথাব্যাথার রয়েছে নানাবিধ কারণ। আজকে আমরা সেই কারণগুলো জানব। নিচে মাথাব্যাথার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
১. হরমোন।
হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মাথাব্যাথা দেখা দেয়। যেকোন কারণে হরমোনের তারতাম্যের ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।মহিলাদের বিশেষ করে এই সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়।
২. মানসিক চাপ।
মাথার পুরো অংশে এবং কপালের সামনের দিকে সাধারণত মানসিক চাপ জনিত মাথাব্যাথা দেখা দেয়। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়।যেমনঃ- অধিক শারীরিক, মানসিক পরিশ্রম এবং মাংশপেশীতে অধিক চাপ ইত্যাদি।
৩. মাইগ্রেন।
মাইগ্রেনের সমস্যা একটি বংশানুক্রমিক রোগ। এই সমস্যাটি সাধারণত পরিবারের কারও থাকলে তা অন্য সদস্যাদেরও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা অনূভুত হয়। এই ব্যাথা সাধারণভাবে ৫-৭২ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং বমি বমি ভাব দেখা দেয়। মাইগ্রেনের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা আলো এবং শব্দের ক্রিয়া সহ্য করতে পারেন না এবং তীব্র অস্বস্থি অনূভব করেন।
৪. সাইনোসাইটিস জনিত।
এই জাতীয় মাথাব্যাথা সাধারণ চোখের চারপাশে, গালে এবং কপালের চারপাশে অনূভূত হয়। সাইনোসাইটিস জনিত সমস্যার কারণে সৃষ্ট এই মাথাব্যাথা নিরাময়ের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করলে মুক্তি পাওয়া যায়।
৫. অ্যালার্জি ।
অ্যালার্জি মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ। এটির কারণে স্নায়ুতন্ত্রে ব্লক সৃষ্টি হয় এবং মানসিক চাপ জনিত কোন ধরণের প্রেসার তৈরী হলেই তীব্র ব্যাথা অনুভূত হয়। এই সমস্যাটি অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। অ্যালার্জি জনিত এই সমস্যা থেকে মুক্তি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
[…] আরো পড়ুনঃ- জেনে নিন কী কী কারণে মাথাব্যাথা দেখা দ… […]