বেশিরভাগ পিতামাতারা মনে করেন শিশুরা তাদের কাছ থেকে কিছু পেতে মিথ্যা কথা বলে থাকে। কিন্তু শুধু একটি কারণেই বাচ্চার মিথ্যা বলে না। বাচ্চাদের মিথ্যা কথা বলার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে যা তারা প্রকাশ করতে পারে না। তাদের এই আচরণটি যখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তখন তা চাইলে এড়িয়ে যেতে পারে।
বাচ্চারা সাধারণত যে কারণে মিথ্যা বলে এরকম কয়েকটি কারণ নিচে আলোচনা করা হলোঃ-
১. আত্ম-সম্মান বাড়াতে এবং সুযোগ-সুবিধা পেতে।
যেসব শিশুদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে তারা নিজেকে আরও আকর্ষণীয়, বিশেষ বা মেধাবী বলে তাদের আত্মমর্যাদা ফুটিয়ে তুলতে এবং অন্যের চোখে নিজেকে আরও সুন্দর করে তুলতে প্রাথমিক ভাবে মিথ্যা বলা শুরু করে।
বাচ্চারা অনেক কিছুই কল্পনা করে কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন হওয়ার কারণে তা তারা মেনে নিতে পারে না। তারা তাদের কল্পনাটিকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এমন অনেক কিছুই করে ফেলে যার ফলে তাদের মিথ্যার আস্রয় নিতে হয়। কারণ তারা ভাবে মিথ্যার আশ্রয় না নিলে হয়ত বিপদে পড়বে।
যেমনঃ- স্কুল ফাকি দিয়ে খেলা-ধূলা করার পর বাড়িতে যখন মা-বাবা জিজ্ঞেস করে বাসায় ফিরতে দেরী হল কেন?ঠিক সেই মূহুর্তেই তারা মিথ্যার আশ্রয়টা নিয়ে থাকে। যেমনঃ- গ্রুফ স্টাডির কথা বলতে পারে।যার কারণে বাসায় ফিরতে দেরী হয়েছে।
২. তারা ভাবার আগে কথা বলে।
ডাঃ ক্যারল ব্র্যাডি, পিএইচডি, ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট এবং এডিএইচডি ম্যাগাজিনের নিয়মিত কলাম লেখক, যিনি এডিএইচডি আক্রান্ত অনেক বাচ্চাদের সাথে কাজ করেছেন, তিনি বলেন, যে অনেক বাচ্চা এমন রয়েছে যারা অনাবৃত হতে পারে না।” এডিএইচডি-র প্রবণতাপূর্ণ হওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল তারা চিন্তা করার আগে কথা বলে।”তাই মাঝে মাঝে তারা এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয় যার ফলে তাদের মিথ্যা বলতে হয়।”
৩. মিথ্যাকে সত্য মনে করা।
এক গবেষনায় দেখা গেছে বাচ্চাদের মিথ্যা কথা বলার প্রবণতার পিছনে একটি কারণ হল তারা যখন মিথ্যা কথা বলে সেই মিথ্যা কথাকে তারা সত্য ভাবতে শুরু করে। ফলে তাদের মিথ্যা কথা বলতে তেমন কিছু অনূভব করে না। শিশুরা সাধারণত অনুরণ প্রিয় হয়, তাই তারা যখন একটা কিছু একবার করে ফেলে সেটা তাদের মাথায় গেথে যায় এবং সেই কাজটি আবার করতে পছন্দ করে।