শীতের আগমনে প্রকৃতি হয়ে ওঠে শুষ্ক।ঠান্ডা দাপুটে বাতাসের প্রভাবে ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ, শুষ্ক, টানটান।চারদিকে ধুলাবালি ও বায়ু দূষণের ফলে ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। দেখা দেয় নানা রকম চর্মরোগ।শীতের এই রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে আর দেরি না করে শুরু করে দিন নিয়মিত পরিচর্যা।শীতেই পান উজ্জ্বল ত্বক খুব সহজেই।
এই শীতে উজ্জল ও কোমল ত্বক পেতে আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব কার্যকরি কিছু টিপস।
১. পানিঃ
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।শীতকালে পানির তেষ্টা কম পায় বলে আমরা অনেকেই পানি কম পান করে থাকি্ ।এর ফলে প্রয়োজন পরিমাণ পান না করার কারণে ত্বক ও শরীরে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য সারাদিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করতে হবে।
২. মধুঃ
প্নাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে মধু বেশ জনপ্রিয়।শুষ্ক ত্বকে মধুর ব্যবহার ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল করতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। ১ চা-চামচ চন্দনগুঁড়ার সাথে পরিমাণ মত গরুর দুধ মিশিয়ে নিন।মিশ্রণটির সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন।তারপর ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩. অলিভ অয়েলঃ
ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলে নানা ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।ঠোঁটের যত্নে অলিভ অয়েল খুবই উপকারী। নরম কোমল ঠোঁট পেতে অলিভ অয়েলের ব্যবহার করা হয়।অলিভ অয়েল রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়।রাতে ঘুমানোর আগে মুখ-হাতে অলিভ অয়েল মেখে নিলে রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে রেহােই পাওয়া যায়্।
৪. সানস্ক্রিনঃ
অনেকেই ভাবেন শীতে সানস্ক্রিন লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। ধারণাটা একেবারেই ঠিক নয়। শীতের সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। রেহাই পেতে রোদে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগান।
৫. ময়েশ্চারাইজারঃ
আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ময়শ্চারাইজ করুন । ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার লাগান সকাল ও রাত।
৬. হালকা গরম পানির ব্যবহারঃ
মুখ পরিষ্কার করার সময়ে খুব ঠান্ডা অথবা গরম জল ব্যবহার করবেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করবেন সব সময়ে। এতে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব এবং আর্দ্রতা হারাবে না।
আরো পড়ুনঃ- যে গাছগুলোতে রোগ সারানোর ক্ষমতা রয়েছে।
[…] আরো পড়ুনঃ শীতের শুষ্কতা থেকে মুক্তির উপায়। […]
[…] আরো পড়ুনঃ- শীতের শুষ্কতা থেকে মুক্তির উপায়। […]