১৭০ বছরেরও বেশি সময় পর দার্জিলিং এর বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মকর্তারা পাখিটিকে পুনরায় আবিষ্কার করেন। ১৮৪২ সালে একজন প্রকৃতিবিদ বলেন কুরসেয়ং ও সোনাদা অঞ্চলের মধ্য রঙিন পাখিটিকে প্রথম দেখা যায়। ১৮৬৩ সালে আরেকজন প্রকৃতিবিদ জেরডন এবং ১৯৩৩ সালে ইংলিস দার্জিলিঙের কাছে থেকে ৭,০০০-৮,০০০ ফুট উচ্চতায় ‘মুনাল’ নামে পরিচিত এই পাখির উপস্থিতির কথা জানায়।পাখিটির খোঁজ পাওয়া যায় বর্তমানের সিংগালিয়া ন্যাশনাল পার্কে ।পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Tragopan Satyra।এ পাখিগুলো ওক গাছে বাসা বাঁধে এবং ঘন ঝোপঝাড় গাছের জঙ্গলেও পাখিগুলো দেখতে পাওয়া যায়।
দার্জিলিং বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মকর্তারা এই বছরের আগস্টে সোনাদা দ্বিতীয় বার এর মতো পাখিগুলি দেখতে পায় এবং সেগুলোকে ধরেন। বিশ্ব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ দিবসে শনিবার ঘোষণাটি করেন । তিনি বলেন “এটি আমাদের বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার একটি সাফল্য। তিনি আরও বলেন আমরা এখন বিশ্বকে বলতে পারি যে পাখিটি আমাদের নিজস্ব অঞ্চলে রয়েছে,”

সাটির ট্রাগোপ্যান পাখিটি ভারতের সবচেয়ে সুন্দর পাখিগুলোর একটি। একই সাথে এটি বিরলতম একটি পাখি-প্রজাতিও। পুরুষ পাখিটি দৈর্ঘ্যে ৬৮ সেন্টিমিটার হয়। গায়ের রং টকটকে লাল, তার ওপর সাদা সাদা ছোপ। স্ত্রী ফ্যাজেন্ট পাখির গায়ের রঙ বাদামি। দার্জিলিং-এর নিওরা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক-এ এগুলোকে সবচেয়ে বেশি দেখা যেত।যখন প্রজাতিগুল বিলুপ্ত হয়ে যায় তখন দেখা যায় যে একটি বনের অবস্থা হ্রাস পাচ্ছে। তবে এখন পাখির প্রজাতিগুলি উপস্থিতে দার্জিলিংর অঞ্চলে বন ও পরিবেশের উন্নতি হয়েছে।এই বিরল পাখিটি দেখা এবং ছবি তোলা র মাধ্যমে আমরা ধরে নিতে পারি এই অঞ্চলে সংরক্ষণের প্রচেষ্টাগুলি ভালভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে । উত্তরবঙ্গের এই এলাকা ইতিমধ্যেই প্লাস্টিক ও দূষণমুক্ত থাকার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Leave A Comment