হাইলাইটস
- ১৯৯৭ সালে বলিউডে আত্মপ্রকাশ।
- ‘পরদেশ’ ছবিতে কিং খানের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল গঙ্গা ওরফে মহিমা চৌধুরীকে।
- এরপর ‘দিল হ্যায় তুমহারা’, ‘দিল কেয়া করে’, ‘ধরকন’, ‘দাগ’-র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯৭ সালে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। ‘পরদেশ’ ছবিতে কিং খানের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল গঙ্গা ওরফে মহিমা চৌধুরীকে। এরপর ‘দিল হ্যায় তুমহারা’, ‘দিল কেয়া করে’, ‘ধরকন’, ‘দাগ’-র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। নয়ের দশকে পর্দা কাঁপালেও, ধীরে ধীরে বলিউডের আকাশ থেকে হারিয়ে গিয়েছেন একসময়ের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নটি আজও ঘুরপাক খায় অনেক দর্শকের মনে। অভিনয়ের দিক থেকে যথেষ্ট এগিয়ে ছিলেন মহিমা। তাহলে টিনসেলের দুনিয়া থেকে কেন সরে যেতে হল তাঁকে? অজয় দেবগনের সঙ্গে প্রেমই কী তার অন্যতম কারণ? কেন ‘কলঙ্কিনী’ তকমা পেতে হয়েছিল নায়িকাকে? এহেন অনেক প্রশ্নই এতদিন ঘুরপাক খাচ্ছিল বলিউডের অন্দরে। প্রায় তিন দশক পর বিষয়গুলি খোলসা করলেন মহিমা।
সবকিছু আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে কয়েক দশক। ১৯৯৯ সালে দিল কেয়া করে ছবিতে অজয়ের স্ত্রী কবিতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। পরনে জিন্সের জাম্প শুট, নুড মেকআপে নজর কেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই সময়েই ঘটে গিয়েছিল অঘটন।
ছবির শুটিং চলাকালীন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। যার জেরে প্রাণ যেতে বসেছিল তাঁর। মহিমার কথায়, ‘আমি সেদিন আমার স্টাফদের আগে বেরিয়ে যেতে বলেছিলাম। নায়িকার আগেই তাঁর সহকারীরা সেটে পৌঁছনোর একটা চল ছিল তখন। কিন্তু আমি তৈরি হয়েই বাড়িতে বসেছিলাম। আমার মা বলেছিলেন কেন এমন নিয়ম মানতে হবে? তুমি তৈরি। তাহলে অপেক্ষা করাবে কেন? প্রশ্নটি যৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই বেরিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে স্টাফদের গাড়ি স্টুডিওর দিকে রওনা দিয়েছে। আমিও ড্রাইভারকে গাড়ি স্টার্ট দিতে বললাম।’
কিছুক্ষণ থেমে তিনি আরও বলেন, ‘আমি তখন মাঝরাস্তায়। একটি দুধের গাড়ি আইন অমান্য করে আচমকাই উল্টোদিক থেকে ছুটে এল। আমার গাড়ির চালক বেগ সামলাতে পারেনি। এরপরেই দুর্ঘটনা ঘটল। প্রাণ হারাইনি। কিন্তু আমার মুখে একাধিক ক্ষত হয়ে গিয়েছিল।’ ওই ছবির প্রযোজক অজয় এবং কাজলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে দেননি অজয় এবং কাজল। সেই সময় ব্যাপারটি জানাজানি হলে কেরিয়ার শুরুতেই শেষ হয়ে যেত। আজও মনে আছে অজয় বলেছিলেন অমন চোট আমার রোজ লাগে। তুমি সেরে উঠবে। এই আশ্বাসটাই অনেক। তাঁরা ভীষন ভালো প্রযোজক।’
কিন্তু তাহলে কীভাবে ব্যাপারটি জানাজানি হয়েছিল? ক্ষোভের সঙ্গে নায়িকার উত্তর, ‘ছবির পরিচালক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে অজয় আর আমার নাকি প্রেম জমে উঠেছে। ছবির কাজ শেষ হওয়ার আগেই কাজলের সঙ্গে অজয়ের বিয়ে হয়েছিল। সদ্য বিবাহিত একজন পুরুষের সঙ্গে এই ধরনের সম্পর্কের কথা অকল্পনীয়। কিন্তু তাও রটে গেল ব্যাপারটা। অনেক মিডিয়া তো আমার মুখে ক্ষত রয়েছে বলে আমাকে কলঙ্কিনী বলেছিল। ভাবতে পারেন?’
বিষয়টি যে নায়িকাকে বেশ নাড়া দিয়েছিল, এতদিন পরে তা স্পষ্ট। তাহলে এই কারণেই কী ধীরে ধীরে বলিউড থেকে বিদায়? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য অজানাই রয়ে গিয়েছে।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।